মনিরামপুরে শীতের সন্ধ্যা নামতেই পাড়া-মহল্লায় ব্যাডমিন্টন উৎসব
স্টাফ রিপোর্টারঃ পাড়া-মহল্লার ফাঁকা জায়গা ও ছোট-বড় মাঠে প্রস্তুত করা হয়েছে ব্যাডমিন্টন কোর্ট। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই সেখানে জ্বলে উঠছে বৈদ্যুতিক বাতি। শীতের ঠান্ডা হাওয়ায় উঠতি বয়সী থেকে শুরু করে মধ্যবয়সীরাও সেখানে মেতে উঠছেন ব্যাডমিন্টন খেলায়।
মনিরামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণও এখন গভীর রাত পর্যন্ত সরগরম থাকছে ব্যাডমিন্টন উৎসবে।
উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোনো ব্যাডমিন্টন কোর্টে বড় হ্যালোজেন বাতি, কোনোটায় কাঠের বোর্ডে লাগানো ৮-১০টি করে বৈদ্যুতিক বাতি। মাঠের মাঝামাঝি টানানো জালের দুই পাশ থেকে র্যাকেট দিয়ে কর্ক হাওয়ায় উড়িয়ে চলছে খেলোয়াড়দের জেতার লড়াই। কেউ উচ্চ স্বরে পয়েন্ট গুনছেন, কেউবা প্রস্তুতি নিচ্ছেন কোর্টে নামার। র্যাকেট-কর্কের শব্দ আর দর্শকের হাততালিতে মুখর পুরো এলাকা।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান জানান, শীতের শুরুতেই বাড়ির পাশে ব্যাডমিন্টন কোর্ট কেটেছেন। বন্ধুবান্ধব, এলাকার বড় ভাইয়েরা—সবাই উপস্থিত থাকেন। তাই খেলার পাশাপাশি আড্ডা দেওয়া যায়। সারা দিন পর বেশ ভালোই সময় কাটে।
ব্যাডমিন্টন কোর্ট থেকে ভেসে আসছে ‘থার্টিন হোপ’, ‘ফোরটিন লাস্ট’ চিৎকার। মাঠের পাশে র্যাকেট হাতে খেলার অপেক্ষায় থাকা আলামিন হোসেন বলেন, শীতের রাতে ব্যাডমিন্টন খেলার আলাদা একটা মজা আছে। প্রতি রাতে কিছু সময়ের জন্য হলেও মাঠে আসেন। ফিটনেস ধরে রাখার জন্য এ খেলার বিকল্প নেই। এ খেলার মজা কিংবা উত্তেজনার কোনো কমতি নেই। কিছুদিনের মধ্যে আমরা একটি ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে যাচ্ছি। খেলাধুলার মধ্যে থাকলে শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো থাকে।
শীতের শুরু থেকেই ব্যাডমিন্টন খেলার সরঞ্জামের বেচাকেনাও বেড়েছে বলে জানান উপজেলা সদরের দোকানি তরিকুল ইসলাম বলেন, শীতে খেলার সামগ্রী এমনিতেই বেশি বিক্রি হয়। তবে এ সময়ে ব্যাডমিন্টন খেলার সরঞ্জামের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এলাকার মুদিদোকানেও এখন শাটলকর্ক বিক্রি হচ্ছে।