রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীর তানোরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন
মো: সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী:
বিএনপির ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কার কাঠামোর ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সময় রাজশাহী জেলার তানোরে উপজেলার বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নিয়ে এক পক্ষ সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন করে। বিগত বছরে আওয়ামী লীগের আমলে যেভাবে বিএনপি নেতাগুলি নির্যাতন হয়েছে ঠিক তেমনি নির্যাতন হওয়াতে একপক্ষ আশ্চর্য প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে। হামলাকারীদের দলীয় নেতাকর্মীদের নিকট বিচারের আশায় ও হামলাকারীদের শাস্তির দাবি নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী নগরীর মাস্টার্স সেফ রেস্টুরেন্টে সকাল ১১ ঘটিকায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তানোর উপজেলার বিএনপির নেতাকর্মীরা লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কার কাঠামো ও সাধারণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের লক্ষে ৩১ দফা ঘোষণা করেছেন। এই ৩১ দফার বার্তা ওয়ার্ড , ইউনিয়ন, থানা, পাড়া, মহল্লাসহ সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন ভাবে দেশজুড়ে কর্মসূচী চলমান রয়েছে। যার ধারাবাহিকতায় রাজশাহী-১ আসনের তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণের জন্য তানোর উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের সহযোগিতায় গোদাগাড়ী উপজেলার বিএনপির নির্বাহী সদস্য এডভোকেট মো . সুলতানুল ইসলাম তারেকসহ নেতাকর্মী গত রবিবার আনুমানিক বিকেল ৩ টার দিকে তানোর উপজেলার কার্যালয়ের গেটে উপস্থিত হোন। এসময় রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য তানোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানের নির্দেশনায় তার ভাগ্নে ও কৃষক লীগের তানোর পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে তানোর পৌর বিএনপির সাবেক সংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন তোফা, যুবনেতা জুবাসহ ৮-১০ জন লাঠি-বাঁশ ইট নিয়ে হামলা করে এবং লিফলেট বিতরণে বাধা দেয় ।
হামলার সময় চারটি মাইক্রো বাসের সামনের দিকের কাঁচ ভেঙে দেয় ও কয়েকজন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হোন। এসময় রাজশাহী-১ আসনের ধানের শীষের মনোনয় প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট মো . সুলতানুল ইসলাম তারেকের পায়ে ইটের আঘাত লেগে বাম পা জখম হয় পরবর্তীতে তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
হামলাকারীরা এই ধরনের নেককারজনক ঘটনা ঘটিয়ে শান্ত হয়নি। তারা পুনরায় সাবেক মেয়র মিজানুর মিজানের নির্দেশে লিফলেট বিতরণী যারা অংশগ্রহণ করেছিল তাদের তালিকা করেন এবং রাস্তায় যদি কাউকে একা পাচ্ছেন তাদেরকে মারধর করছে।
গত সোমবার আনুমানিক সকাল ১০ টায় আজিজুর রহমান অন্তরকে একা পেয়ে তার ওপর যুব নেতা জুবা হামলা করে।
এই হামলাকারীদের সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, হামলাকারী হাবিবুর রহমান হাবিব আওয়ামী লীগের সময় বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীকে নির্যাতন করেছে। এই কৃষক লীগ নেতাকে মিজানুর রহমান মিজানের ভগ্নিপতি তাই মিজান কৃষক লীগ নেতাকে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক করেছে। ৫ আগষ্টের পর থেকে মিজানুর রহমান মিজান, পুকুর দখল, ডিস দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চলমান রেখে তানোরে আওয়ামী লীগ কাদায় মিজানতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা করছে।
অতএব বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজশাহী জেলা বিএনপির নিকট আবেদন এই হামলাকারীর নির্দেশদাতাসহ সহযোগিদের সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নিয়ে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে মিজানকে একাধিকবার ফোন করায় কল না ধরায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।