রৌমারীতে জোরপূর্বক কাচাধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ
আব্দুল খালেক রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
জোরপূর্বক জমির কঁাচাধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জমির মালিকের আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এঘটনায় ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন জমির মালিক বেলাল হোসেন। ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের টাপুরচর গ্রামে।
পুলিশ, অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বেলাল হোসেন ও তার ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমি নিয়ে দ্বন্দ চলছিল। এবিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকদফা শালিশি বৈঠক বসলেও কোন সমাধান হয়নি। বেলাল হোসেন তার পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ ও ক্রয়কৃত জমি দীর্ঘদিন থেকে ভোগদখল করে আসছেন। ঘটনার দিন শনিবার (২ নভেম্বর) সকালের দিকে টাপুরচর গ্রামের আওয়ামীলীগের নেতা আব্দুর রহিম এর নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্যু বেলাল হোসেন এর ৭৭ শতক জমির ধান কেটে নিয়ে যায়। এসময় বেলালের স্ত্রী জাহানারা বেগম ধান কাটতে বাধা দিলে ভূমিদস্যুরা তাকে গালিগালাজসহ ভয়ভীতি দেখান। ভয়ে জাহানারা ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়েফেলেন। পরে স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেন। এঘটনায় বেলাল হোসেন বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় আব্দুর রহিমসহ দশজনের নাম উল্লেখ্য করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আব্দুর রহিম জমির ধান কেটে নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বেলাল চাচার কাছে আমরা জমির কাগজ দেখতে চাই। কাগজ না দেখানোয় দেড় বছর আগে এই জমি দখল করি এবং আমরাই চাষাবাদ করি। কাগজে জমি না পাইলে ছেড়ে দিবো।
অভিযোগকারি বেলাল হোসেন জানান, আমার ভোগদখলীয় জমি। আমার ছেলে সন্তান না থাকায় আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রহিম ক্ষমতার জোরে দলবল নিয়ে জমি দখল করে নিয়েছে। শেষে জমির কঁাচাধান কেটে নিয়ে গেছে তারা।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ধানকাটার বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।