রৌমারীতে নিখোঁজের ২৭ ঘন্টা পর উদ্ধার হলো মরদেহ
আব্দুল খালেক রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম রৌমারী ব্রহ্মপুত্রের শাখা সোনাভরী নদীতে গোসল করতে গিয়ে যুবক নিখোঁজের একদিন পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ব্রহ্মপুত্রের শাখা সোনাভরী নদীতে গোসল করতে নেমে মো. শাহ্ আলম (১৮) নামের এক যুবক নিখোঁজ হয়েছে। এতে সাজিম মিয়া নামের আরেক যুবক আহত হয়।ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল দীর্ঘ ২৭ ঘন্টা সময় ধরে নদীতে খোঁজাখুঁজির পর নিখোঁজের মরদেহ উদ্ধার করে।সোমবার বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর চরেরগ্রাম পশ্চিম পাড়া ব্রহ্মপুত্রের শাখা সোনাভরী নদী থেকে উদ্ধার করেন শাহ আলমের মরদেহ।শাহ্ আলম গাজীপুর জেলার সফিপুর উপজেলার সেনাবর গ্রামের রহম আলীর ছেলে। সে সখিপুর শহরের একটি গ্যারেজে মেকানিক হিসেবে কাজ করেন।নিখোঁজের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ধনারচর চরের গ্রামের নানা নুর ইসলামের বাড়ীতে গত ১১ সেপ্টেম্বর গাজীপুর সখিপুর থেকে শাহ্ আলম বেড়াতে আসেন।ঘটনার দিন মামাতো ভাই সাজিম হাসান ও নানাসহ কয়েকজন নানা বাড়ির পাশে ব্রহ্মপুত্রের শাখা সোনাভরী নদীর পশ্চিম চরে জমি মাপ জরিপের জন্য যান। সেখান থেকে নানা বাড়ি ফেরার পথে নদীতে মামাতো ভাই সাজিম মিয়াসহ শাহ্ আলম গোসল করতে নামেন। একপর্যায়ে নদী সাতরে যাওয়া চেষ্টা কালে সাজিম মিয়া বলেন 'বাচাও বাচাও' শব্দ করে চিৎকার করেন। এদিকে শাহ্ আলম চিৎকারের আগে পানির নিচে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা রৌমারী কর্তিমারী ফায়ার সার্ভিসকে সংবাদ দেন। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আসেন। কিন্তু ডুবরি না থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরি দল এসে নিখোঁজ শাহ্ আলমের মরদেহ উদ্ধার কাজ চালান।রৌমারী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ইনচার্জ আব্দুল আলিম বলেন, নিখোঁজ হওয়ার সংবাদের পর ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়। কিন্তুু আমাদের ইউনিটে ডুবরি না থাকায় পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অভিজ্ঞ ডুবরি দল আনা হয়। তিনি আরও বলেন, ডুবরি দল নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তির সন্ধানে নদীতে উদ্ধার কাজ করেন। কিন্তু নদীর গভীরতায় কাঁদামাটি থাকায় নিখোঁজ মরদেহটি উদ্ধার করতে বিলম্ব হয়েছে । অবশেষে আজ বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটের সময় মরদেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।